তারিখঃ ১৬ অক্টোবর ২০১৬
হুমায়ুন আহমেদ তাঁর ‘হিজিবিজি’ বইয়ে এক জায়গায় লিখেছেন । উইপোকা তাঁহার বই কাটিতেছিল । এই ওষুধ, সেই ওষুধ দিলেন, এমনকি তন্ত্র, মন্ত্র চলিল। কিন্তু উইপোকার বংশ শুধু বাড়িতেই লাগিল।
বই পড়িতে থাকিলে বইয়ের ভাবনা, ঘটনা, চরিত্র, এমনকি কিছু কিছু ডায়লগ মাথায় পোকা হইয়া ঘুরিতে থাকে । যেমন একটি বইয়ে পড়িলাম John Adair সাহেব বলিয়াছেন – It is never too late to learn. কথাটি মাথায় পোকার মত সুড়সুড়ি দিতেছে । মাসউদুল হক (Masudul Haq) ভাইয়ের “দীর্ঘশ্বাসেরা হাওড়ের জলে ভাসে ” এক তৃত্রিয়াংশ পড়েছি । তবারাক, ডাক্তার সাহেব, মাস্টার, আখের চরিত্রগুলি পোকা হইয়া মাথায় ঘুরিতেছে । আখেরের আখেরে (শেষে) কি আছে জানিতে ইচ্ছা করিতেছে । শিবরাম চক্রবর্তীর সরস গল্পগুলিও পোকা হইয়া কুটকুট করিতেছে । সৈয়দ হকের ” মার্জিনে মন্তব্য ” এর কঠিন মন্তব্য গুলি মাথায় পোকার মত কামরাইতেছে। ‘ নিষিদ্ধ লোবানে ‘ বলিয়াছেন – ” মানুষ মৃত্যুর পর ভারি হয়ে যায় । আত্মাই মানুষকে লঘু রাখে । ” ইহাও পোকার মত যন্ত্রণা দিতেছে ।
” নিষিদ্ধ লোবানে ‘ বলিয়াছেন – ” মানুষ মৃত্যুর পর ভারি হয়ে যায় । আত্মাই মানুষকে লঘু রাখে । ”
এখন বুঝিলাম বই না পড়িয়া জমাইয়া রাখিলে বইয়ের পোকাগুলি উইপোকা হইয়া যায়। এবং অভিমানে বই কাটিতে থাকে।
Leave a Reply